-->

ফেয়ার ইউজ, চ্যানেল ডিলিটের কারণ, কতদিন পর পর ভিডিও আপলোড, কিভাবে SEO করবো?



ফেয়ার ইউজ কি ও কিভাবে ইউজ করবেন? 

আপনি এডুকেশনাল পার্পাসে মানে শিক্ষামূলক কোন ভিডিও তৈরি করতে অন্য কারও কোন ফুটেজ আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করাই হচ্ছে ফেয়ার ইউজ।
এইরকম শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করতে কারও ফুটেজ আপনার ভিডিওতে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এজন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মানতে হবেঃ-
* এইরকম ভিডিও করতে আপনাকে সেই বিষয় সম্পর্কে বুঝিয়ে দিতে হবে। মানে, কথা বলে সেই বিষয়টি আলোচনা করতে হবে।
* সেই ভিডিওতে আপনার ফেস দেখালে অনেক ভালো হয়, তবে না দেখালেও সমস্যা নেই।
* অন্যের ভিডিওটি কখনওই ফুলস্ক্রিন করে আপলোড দিবেননা।
* অন্যের ভিডিও আপনার ভিডিওতে ছোট করে কোন এক জায়গায় ইউজ করতে পারেন এবং পাশে আপনার ফেসক্যামের ভিডিওটি রাখতে পারেন। তবে এমন না করলেও প্রবলেম নেই কিন্তু ভিডিওটি আপনার ভিডিওতে ছোট করে শো করতে হবে।
* অন্যের সেই ফুটেজটি একটু শো করলেন এবং একটুপর আপনার বক্তব্য উপস্থাপন করলেন। এভাবে আবার একটু শো করে আবার আপনার বক্তব্য শো করলেন এভাবে আপনি ইউজ করতে পারেন।
* এবং ভিডিওর ডেসক্রিপশনে ডিসক্লেইমার ইউজ করবেন। সাথে বলে দিতে পারেন যে এতে কারও প্রবলেম মনে হলে আপনার সাথে যোগাযোগ করলে আপনি ভিডিওটি ডিলিট করতে বাধ্য থাকবেন। (ইতোমধ্যে আপনারা ডিসক্লেইমার সম্পর্কে জেনেছেন।)
আশা করি এভাবে অন্যের ভিডিও আপনি ফেয়ার ইউজের আন্ডারে আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করলে কোন সমস্যা হবেনা।


কোন কোন কারণে চ্যানেল ডিলিট হয়ে যেতে পারে।

ইউটিউবে আসতে গেলে আমাদের এই বিষয়টি জানা ভিষণ প্রয়োজন। কারণ কিছু ভুলের কারণে আপনার চ্যানেলটি আপনি হারাতে পারেন।
নিম্নে সেসব বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ-

*কপিরাইট স্ট্রাইকঃ- আমরা ইতোমধ্যেই কপিরাইট স্ট্রাইক সম্পর্কে জেনেছি। কেউ যদি ৩মাসের মধ্যে ৩টি স্ট্রাইক দেয় তাহলে আপনার চ্যানেলটি আপনি হারাতে পারেন।
* কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইকঃ- এটি সম্পর্কেও আমরা পূর্বেই জেনেছি। এটিও ঠিক কপিরাইট স্ট্রাইকের মতো ৩মাসের মধ্যে ৩টি স্ট্রাইক পেলেই আপনার চ্যানেল শেষ।

* স্প্যামিংঃ- আপনি যদি ইউটিউবে স্প্যামিং করেন তাহলে আপনার চ্যানেলটি সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে। স্প্যামিং কি এ সম্পর্কে পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে।

* কেউ যদি আপনার চ্যানেলের ভিডিওতে রিপোর্ট করে তাহলেও আপনার চ্যানেল সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে।
* ইউটিউব যদি কখনও মনে করে যে আপনি মানুষদের প্রতারণা করছেন তাহলেও আপনার চ্যানেল হারাতে হতে পারে।
* মাঝে মাঝে একটি কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক আসলেও চ্যানেল সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে।

আশা করি এই বিষয়গুলি জানলে আপনার চ্যানেল ডিলিটের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ইউটিউবে কাজ করতে করতেও অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।


কতদিন পর পর ভিডিও আপলোড দিবেন?


যারা নতুন ইউটিউবার তাদের প্রায়ই একটি প্রশ্ন থাকে, যে কতদিন পর পর ভিডিও আপলোড দিলে ভালো হবে।
আপনি আপনার ইচ্ছামতো ভিডিও আপলোড দিতে পারবেন, এতে কোন সমস্যা হবেনা।
তবে প্রাথমিক দিকে যদি পারেন তাহলে আপনি প্রতিদিন একটি করে ভিডিও আপলোড দিবেন৷ তা না পারলে ৩দিন পর পর ১টি করে ভিডিও আপলোড দিতে পারেন। তাও না পারলে সপ্তাহে ১টি করে ভিডিও আপলোড দিবেন।
একদিনে যদিও ৫-১০ টা ভিডিও আপলোড দিতে পারবেন তবে এতে আপনার বেশি একটা লাভ হবেনা। তাই আপনার জন্য আমি মনে করি প্রতিদিন ১টি কিংবা ৩দিন পর পর একটি  ভিডিও আপলোড দিতে পারেন।

কারণ একটি ভিডিও মানুষদের দেখার জন্য কিছুটা সময় দেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও চ্যানেল একটি ভালো পর্যায়ে চলে গেলে প্রতি সপ্তাহে ১টি কিংবা ১৫ দিন পরপর ১টি করেও ভিডিও আপলোড দিতে পারেন।
তবে শুধু রেগুলার ভিডিও আপলোড দিলেই যে ভিউস আসবে এমনটি নয়। ভিউস নিয়ে আসার জন্য অবশ্যই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে, তবে আবার শুধু অপেক্ষা করলেই হবেনা ভিডিওগুলি SEO করতে হবে। কিভাবে ভিডিও SEO করবেন তা পরবর্তী পার্টে আলোচনা করবো। কিছু কিছু ভিডিও আপনি হয়তো ভালোভাবে SEO করতে পারবেননা, কারণ সেইরকম ট্যাগ আপনি হয়তো খুঁজে পাবেননা। এজন্য আপনাকে একটু টেকনিক ফলো করতে হবে। যেমনঃ- আপনার ভিডিওর টাইটেল এবং থাম্বনেইল এমনভাবে দিবেন, যাতে কেউ দেখলেই ক্লিক করতে ইচ্ছা করে তবে ভুলভাল কিছু দিবেননা, তাহলে কিন্তু স্প্যাম হয়ে যাবে। আপনি আপনার টাইটেল, ট্যাগে এমন কিছু দিবেন যেটা আপনার ভিডিওর সাথে মিলে এবং যা লিখে মানুষ সচরাচর সার্চ করে।    

       

SEO কি? কিভাবে SEO করতে হয়?

SEO এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Search Engine Optimization.
এক কথায় বোঝাতে গেলে, আপনার কোন সার্ভিস সার্চ Rank এর প্রথমে নিয়ে আসা। যাতে কেউ সার্চ দিলে হাজার হাজার ভিডিও/সাইটের মধ্যে আপনারটিই প্রথমে চলে আসে।
এটি একটি বিস্তারিত ব্যাপার তবে ভিডিওর ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ-
* প্রথমে আপনার ভিডিওর জন্য একটি এমন টাইটেল সিলেক্ট করতে হবে, যা সচারাচর সবাই সার্চ করে।
* আপনি যে সম্পর্কে ভিডিও আপলোড করতে চান সেটি লিখে ইউটিউবে সার্চ দিন। দেয়ার সময় দেখতে পারবেন আপনার সাজেশনে অটোমেটিক কিছু ট্যাগ চলে এসেছে। সেই ট্যাগগুলি আপনি খাতায় কিংবা নোটপ্যাডে লিখে রাখবেন।
* এরপর আপনি সেই বিষয়টি সম্পর্কে গুগলে সার্চ দিতে পারেন, সেখানেও দেখতে পারবেন লিখার সময় কিছু বাক্য সাজেস্ট করছে। সেগুলোও লিখে নিবেন।
* এরপর গুগলে সবার নিচে দেখতে পারবেন সেই রিলেটেড কিছু বাক্য লিখা আছে, সেগুলোও কপি করে নিবেন।
* নেয়ার পর এগুলো থেকে সুন্দর একটি কিওয়ার্ড আপনার ভিডিওর টাইটেলে দিবেন এবং বাকিগুলো আপনার ভিডিও ট্যাগ অপশনে দিবেন।
*এরপর আপনাকে ভিডিওর যে ডেসক্রিপশন আছে তার প্রথম ২লাইনেও সেই রিলেটেড কিছু কিওয়ার্ড দিবেন। কারণ ডেসক্রিপশনের প্রথম ২লাইনও এসইও'র জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
* আপনার ভিডিওর ডেসক্রিপশনের নিচে আপনার ভিডিও রিলেটেড কয়েকটি কিওয়ার্ড রাখতে পারেন।
*এরপর আপনি এইরকম কিওয়ার্ড খুঁজতে কিছু ওয়েবসাইটের হেল্প নিতে পারেন এর মধ্যে বেস্ট সাইট হচ্ছে RapidTags.io এবং keywordtool.io এই সাইটে গিয়ে আপনার ভিডিওটি যে সম্পর্কে সেটি লিখে সার্চ দিলে, কিছু কিওয়ার্ড আপনার সামনে আসবে সেগুলো আপনার ভিডিওর টাইটেল, ট্যাগে ইউজ করতে পারেন।
*এরপর আপনার ভিডিওটি সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এগুলোতে শেয়ার করতে পারেন। তবে অধিক পরিমানে শেয়ার করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
* আপনার ভিডিও কিংবা থাম্বনেইল আপলোড দেয়ার সময় রিনেম করে সেই ট্যাগগুলি দিবেন। কম্পিউটার থাকলে ভিডিওটির টাইটেল, ডেসক্রিপশনে সেই রিসার্স করা কিওয়ার্ডগুলি এড করবেন। এতে এলগরিদমের বুঝতে সুবিধা হবে।      
এরপর আপনার থাম্বনেইল অবশ্যই আকর্ষণীয় করতে হবে। নাহলে ভিডিওতে কখনোই ভিউ পাবেননা। ধরুন সার্চ রেজাল্টের সামনে আপনার ভিডিওটি আসলো কিন্তু আপনার থাম্বনেইল তেমন ভালো না। তখন মানুষ আপনার ভিডিওতে কখনওই ক্লিক করবেনা। কারণ ৯০% মানুষ থাম্বনেইল দেখেই ক্লিক করে। তাই থাম্বনেইল সবসময় আকর্ষণীয় রাখার চেষ্টা করবেন। আশা করি এই কাজগুলো করলে মোটামুটি SEO হয়ে যাবে।

পরবর্তী পার্ট

More Item

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন