-->

অ্যাফিলিয়েট কি? ভিডিওর সমস্যা কোথায় বুঝবেন কিভাবে? কমিউনিকেশন করলে কি হয়?



অ্যাফিলিয়েট কি? কিভাবে অ্যাফিলিয়েট করবেন?


অ্যাফিলিয়েটকে সহজ ভাষায় বোঝাতে গেলে আমি বলবো দালালী করা। মানে কারও কোন প্রডাক্ট কিংবা কোন সার্ভিস আছে এখন আপনি তার প্রডাক্ট কিংবা সার্ভিস অন্য মানুষের কাছে সেল করে দিলে সে আপনাকে কিছুটা চার্জ দিবে, এটাই মূলত অ্যাফিলিয়েট।
আমরা যখন ভিডিও তৈরি করি তখন অনেক বিষয় সম্পর্কেই বলতে হয়, যেমনঃ- আপনি কোন মটিভেশনাল ভিডিও তৈরি করলে, কোন বই থেকে এই ধারণাটি পেয়েছেন তা সবাইকে বলতে পারেন। এরপর আপনি যদি কোন সাইট থেকে সেই বইটির অ্যাফিলিয়েট লিংক আপনার ডেসক্রিপশনে দিতে পারেন এবং আপনার ভিউয়ার্সদের সেই বইটি ক্রয় করে পড়তে বললে, সেখান থেকে কেউ বইটি কিনলে আপনি একটি কমিশন পেয়ে যাবেন। একদিকে ভিডিও তো তৈরি হলোই পাশাপাশি এক্সট্রা ইনকামও হলো।
এভাবে আপনি কোন প্রডাক্ট কিংবা যেকিছুর অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে এক্সট্রা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি বেস্ট মাইক্রোফোন, কোন খাবার প্রডাক্ট, ইলেক্ট্রিক প্রডাক্ট বিভিন্ন শপে অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট করে, সেখান থেকে অ্যাফিলিয়েট লিংক নিয়ে আপনার ভিডিও ডেসক্রিপশনে দিতে পারেন।     
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য Amazon হচ্ছে সবথেকে বড় প্লাটফর্ম। এখানে সকল ধরণের প্রডাক্ট পাওয়া যায় পাশাপাশি প্রায় সকল দেশ থেকেই এখান থেকে পণ্য ক্রয় করে। তাই আপনি এখানে অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট করে একটি হিউজ পরিমান ইনকাম করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি কোন থিম কিংবা কোন লোগো, প্লাগইনের অ্যাফিলিয়েট করতে চাইলে Evanto Marketplace হতে পারে বেস্ট প্লাটফর্ম। 
আপনি যদি বাংলাদেশি কোন অনলাইন শপ থেকে অ্যাফিলিয়েট করতে চান তাহলে BD SHOP হতে পারে বেস্ট একটি প্লাটফর্ম। 
এখান থেকে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে একটি ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারেন।
কিভাবে অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট করবেন এবং কিভাবে অ্যাফিলিয়েট লিংক পাবেন, তা জানতে একটু ইউটিউবে সার্চ দিন। তাছাড়া এগুলো বলে বুঝানো সম্ভব নয়। 



ভিডিওর সমস্যা কোথায় বুঝবেন কিভাবে?


আপনি অসংখ্য ভিডিও আপলোড দিচ্ছেন কিন্তু ভিডিওতে ভিউস আসছেনা। কেন ভিউস আসছেনা ভিডিওর সমস্যা কোথায় যদি বুঝতে না পারেন তাহলে এটি সম্পূর্ণ পড়ুনঃ-

* অনেকদিন (৩-৪মাস) হওয়ার পরও যদি আপনার ভিডিওতে কোন ইম্প্রেশন না হয় তাহলে আপনার ভিডিওটি আরও একটু ভালোভাবে SEO করুন, ভালোভালো ট্যাগ দিন এবং ভিডিওটির টাইটেল একটু আকর্ষণীয় দেয়ার চেষ্টা করুন সাথে ভিডিওটি শেয়ার করুন।
* যদি দেখতে পারেন ভিডিওতে ভালোই ইম্প্রেশন কিন্তু Click Rate ৪-৫% এর নিচে তাহলে বুঝবেন আপনার থাম্বনেইলটা তেমন আকর্ষণীয় নয়। তখন আপনার থাম্বনেইলটা আরও সুন্দর করে দেয়ার চেষ্টা করবেন। 
এখন বলতে পারেন এই Impression দেখবো কিভাবে? এটি দেখার জন্য আপনি YouTube Studio অ্যাপসটি ডাউনলোড করে, যে ভিডিওতে Imoression দেখতে চাচ্ছেন তাতে ক্লিক করবেন। এরপর দেখতে পারবেন Go Video Analytics নামে একটি অপশন। সেখানে ক্লিক করে Discovery তে ক্লিক করলে সেই ভিডিওর Impressions এবং তার নিচে Click Rate দেখতে পারবেন।
* এরপর আপনি Video Analytics এর প্রথম পেজে একটু নিচে গেলে দেখতে পারবেন Audience Retention নামে একটি চার্ট আছে। ওইটাতে যদি দেখেন যে, কোন কোন জায়গায় গ্রাফ একদম নিচে চলে গেছে, এর মানে ওই জায়গাটি অধিকাংশ মানুষ কেটে গেছে। এখন আপনি সেই জায়গাগুলো দেখবেন যে কেন ভিউয়ার্সরা এই জায়গাটি কেটে দিলো, এইখানে কোন অপ্রয়োজনীয় অংশ আছে কি না। এসব ত্রুটি বের করে পরবর্তীতে সেই জায়গাগুলি ঠিক করার চেষ্টা করবেন।

* এরপর আপনি যদি দেখেন যে আপনার ভিডিওর Average View Duration খুবই কম, তাহলে বুঝবেন যে আপনার ভিডিওর সাউন্ড কোয়ালিটি কিংবা ভিডিও কোয়ালিটি কিংবা আপনার ভিডিওটি মানুষদের কাছে তেমন ভালো লাগেনি। তখন আপনি চেষ্টা করবেন আপনার ভিডিও আপডেট করার, পাশাপাশি ভিউয়ার্সকে সম্পূর্ণ সময় ধরে ভিডিওতে ধরে রাখার টেকনিক ফলো করার।
এভাবে যেগুলি ভিডিওতে ভিউস হচ্ছেনা, সেই ভিডিওগুলি ৩-৪ মাস পর একটু নতুন নতুন কিওয়ার্ড এবং নতুন থাম্বনেইল এড করার চেষ্টা করবেন।


কমিউনিকেশন করা কি জরুরী? 


আপনি যেকোন সার্ভিসই প্রোভাইড করেননা কেন আপনার সার্ভিস যে গ্রহণ করবে তার সাথে আপনার কমিউনিকেশন থাকটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা না করলে সে আপনার কাছে আর কখনওই কোন সার্ভিস গ্রহণ করতে আসবেনা। আপনি যদি সবার কমেন্টের রিপ্লাই কিংবা সবার উত্তর দিয়ে সবাইকে হেল্প করেন তাহলে সে নেক্সট এ আপনার কাছে তো আসবেই সাথে তার বন্ধুবান্ধবদেরও নিয়ে আসবে। 
তাই নতুন অবস্থায় আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন সকলের কমেন্টের একটি সুন্দর রিপ্লাই দেয়ার। যদি কেউ বাজে কমেন্টও করে তাহলে তাকে সুন্দরভাবে একটু বলবেন যে সে কেন এমন মন্তব্য করেছে। তবে আরও বেশি খারাপদিকে গেলে তার কমেন্ট এভোয়েড করুন। ২-৪ জনের খারাপ কমেন্টে কখনওই আপনার কাজ বন্ধ রাখবেননা যদি সেটি আসলেই ভালো কাজ হয়। 

আপনার কাজ যে সবারই ভালো লাগতে হবে এমনটি নয়, সবার কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। এতে করে আপনি আপনার স্থান থেকে বিন্দুমাত্র নড়চড় করবেননা। তাহলে আপনি হেরে যাবেন।
* আপনার ভিউয়ার্স যেমন সেই অনুযায়ী ভিডিও আপলোড দেয়ার চেষ্টা করবেন এবং বিশেষ করে চেষ্টা করবেন রেগুলার একটি সময় নিয়ে ভিডিও আপলোড করার। 
আপনি যদি আজ একটা এবং ১-২ মাস পর আর একটা এভাবে ভিডিও আপলোড করেন তাহলে আপনার যত মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারের চ্যানেলই হোক না কেন তা ১০০% ডাউন হয়ে যাবে। 
তাই আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন রেগুলার ভিডিও আপলোড দেয়ার। রেগুলার মানে আবার প্রতিদিন নয়, আপনি যে নিয়মে আপলোড দেন সেই নিয়মেই আপলোড দিবেন। যেমনঃ- ২দিন পর একটি করে কিংবা ৭দিন পর একটি করে কিংবা ১৫ দিন পর একটি করে। যেভাবে আপলোড দেন সেভাবেই দিতে থাকবেন। তাহলেই আপনার চ্যানেলের পপুলারিটি ঠিক থাকবে।

পরবর্তী পার্ট

More Item

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন