-->

ভিডিও আপডেট কি? ভিডিও প্রোমোট/ বুস্ট এবং স্প্যামিং কি?


ভিডিও ইম্প্রুভ/আপডেট কি?

ভিডিও ইম্প্রুভ/ আপডেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার ভিডিও আজ যেমন আছে, কাল এর থেকে আরও সুন্দর করাই হচ্ছে ভিডিও ইম্প্রুভ/ আপডেট।
আপনার উচিত প্রতিনিয়ত আপনার ভিডিওর ভুলগুলি খুঁজে বের করা এবং তা আপডেট করা। প্রতিনিয়ত একই রকম ভিডিও দিলে আপনার ভিউয়ার্সরা বিরক্তবোধ করবে। সময়ের সাথে সাথে যেমন সবকিছুই পরিবর্তন হচ্ছে ঠিক তেমনি আপনার ভিডিও সময়ের সাথে আপডেট করতে হবে।
আজ যদি আপনার সাউন্ড কোয়ালিটি একটু খারাপ হয়, কাল চেষ্টা করবেন আজকের থেকে একটু ভালো করার।
আজ যদি দেখতে পারেন আপনার ভিডিওতে অপ্রয়োজনীয় কথা বেশি হয়ে যাচ্ছে, কাল চেষ্টা করবেন একটু অপ্রয়োজনীয় কথা কম বলতে। আপনার ভিডিওর কোয়ালিটি যদি দেখুন একটু খারাপ হইছে, তাহলে চেষ্টা করবেন পরবর্তীতে এর থেকে আর একটু ভালো করতে। আজ যদি মানুষকে আনন্দ দেয়ার কোন উপায় খুঁজে পান, কাল চেষ্টা করবেন আর একটু বেশি আনন্দ কিভাবে দেয়া যায়।
এভাবে প্রতিনিয়ত আপনার ভিডিওর সব বিষয়গুলো আপগ্রেড করার চেষ্টা করবেন। যারা আপনার সমালোচনা করবে তাদের ধন্যবাদ দিবেন কারণ তারা আপনাকে আপনার ত্রুটিগুলো সমাধান করার সুযোগ করে দেয়।
এভাবে প্রতিনিয়ত কোন না কোন বিষয় ইম্প্রুভ করার চেষ্টা করবেন, তাহলে আশা করি একদিন আপনি ভালো পর্যায়ে যেতে পারবেন।


প্রোমোট/বুস্ট করলে উপকার নাকি ক্ষতি? 


যারা নতুন ইউটিউবে আসে তারা তাদের ভিডিওতে ভিউস এবং সাবস্ক্রাইবার না পেয়ে চ্যানেল প্রোমোট কিংবা ভিডিও বুস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তবে এটি করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ-

আপনি যদি আপনার চ্যানেল বড় কোন ইউটিউবারকে দিয়ে প্রোমোট করতে চান তাহলে হয়তো আপনি কিছু সাবস্ক্রাইবার পাবেন কিন্তু তারা আপনার ভিডিও দেখবেনা। আপনি নিজেকেই একবার প্রশ্ন করে দেখুন তারা আপনার ভিডিও কেন দেখবে?
আর যদি তাদের দেখার মতো বিষয় এবং ভিডিও আপনার কাছে থাকে তাহলে অযথা প্রোমোট করে টাকা নষ্ট না করাই ভালো, কারণ আপনার ভিডিও ভালো হলে অটোমেটিক আপনার সাবস্ক্রাইবার বাড়বে।
তবে আপনার পরিচিত কেউ থাকলে তাকে দিয়ে একটু প্রোমোট করিয়ে নিতে পারেন। তবে টাকা খরচ করে প্রোমোট করার প্রয়োজন নেই। কারণ এতে করে আপনার সম্পূর্ণ টাকাটি জলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এবার বলি ভিডিও বুস্ট করা সম্পর্কেঃ-

আপনি যদি গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজে ভিডিও বুস্ট করতে চান তাহলে কোন সমস্যা নেই, এতে চ্যানেলের কোন সমস্যা হবেনা।
তবে আপনি যদি ভিডিও বুস্ট করে মনেটাইজ অন করতে চান তাহলে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা, এতে আপনার পুরো টাকাটি জলে যাবে। কারণ আপনি দেখতে পারবেন সবকিছুই কমপ্লিট কিন্তু এভাবে মনেটাইজ পাবেননা। নাহলে সবাই আজ চ্যানেল খুলে কালই বুস্ট করে মনেটাইজ ইনেবল করে নিতো। তখন ইউটিউবের এইরকম ১হাজার সাবস্ক্রাইব এবং ৪হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম দেয়ার প্রয়োজন ছিলোনা।

এখন আপনি যদি মনেটাইজ পাওয়ার পর বুস্ট করে ভিউস নিয়ে এসে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনি বড় বোকামী করবেন। কারণ বুস্টের ভিডিও থেকে কখনওই এডসেন্স এর ইনকাম হয়না।
এছাড়াও অনেকেই টাকা দিয়ে সাবস্ক্রাইব, ভিউস ক্রয় করতে চায়, যা সম্পূর্ণ বোকামি। কারণ তারা তো একজনেই ১০-১২ টা মেইল খুলে যাস্ট সাবস্ক্রাইব করে টাকা ইনকাম করে কিন্তু পরবর্তীতে তো আপনার কোন ভিডিওই দেখবেনা। এতে চ্যানেল আরও ডাউন হয়ে যাবে।    
তাই আমি বলবো এই বুস্টের পিছে না ছুটে আপনার ভিডিও কোয়ালিটি আপগ্রেড করুন। পরবর্তীতে এমনিতেই সাবস্ক্রাইব ভিউস পেয়ে যাবেন।


স্প্যামিং কি এবং করলে কি হয়?

আশা করি আপনারা স্প্যাম কি এটি বুঝতে পেরেছেন। সম্পূর্ণ না বুঝলেও বুঝছেন যে এটি ভালো কাজ না। আসলেই এটি ভালো কাজ না। এটি একটি অনৈতিক মাধ্যম। ইউটিবেও অনেকেই না জেনে স্প্যামিং করে থাকে। ইউটিউবে কি কি করলে স্প্যাম হয় এবং এর ফলে কি ক্ষতি হতে পারে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ-

* নিজের ভিডিও নিজে দেখলেঃ-
অনেকেই আছেন যারা ভিউস বাড়ানোর জন্য নিজের ভিডিও নিজেই দেখে। কিন্তু এতে করে যে স্প্যাম হচ্ছে তা তারা বুঝতেইছেনা। আপনার ভিডিও আপনি কয়েকবার ভিউ করতে পারেন, তবে বার বার ভিউস করলে তা স্প্যাম হয়ে যাবে। আর আপনি যদি মনেটাইজ পেয়ে থাকেন তাহলে নিজের ভিডিও নিজে দেখার ফলে ১০০% মনেটাইজ ডিজেবল হয়ে যাবে। তাই এই কাজ থেকে বিরত থাকুন।
* সাব ফর সাবঃ-
অনেকেই আছে যারা চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর জন্য সাব ফর সাব করে থাকে কিন্তু এর ফলে আপনার চ্যানেল ইউটিউবের খারাপ নজরে পড়ে যাবে। এমনকি ইউটিউব সেই সাবস্ক্রাইবগুলো রিমুভও করে দেয়।
* কমেন্টে স্প্যামঃ-
এই কাজটি সচারাচর সবাই করে থাকে। অন্যের ভিডিওর কমেন্টে গিয়ে চ্যানেল কিংবা ভিডিওর লিংক শেয়ার, কমেন্টে আমার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন, Sub, হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে কমেন্ট কিংবা বিভিন্ন আজেবাজে কমেন্ট করলে সেটি সেই ইউটিউবারের স্প্যাম লিস্টে চলে যায়।
সে চাইলে আপনাকে রিপোর্ট করতে পারে, আর এই স্প্যাম করার ফলে যদি কোন বড় ইউটিউবার রিপোর্ট করে, তাহলে এক রিপোর্টেই আপনার চ্যানেল সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে।
* টাইটেল, ট্যাগ এবং থাম্বনেইলে স্প্যামঃ-
ধরুন আপনার ভিডিওটি টেকনোলজি কোন বিষয় নিয়ে, এখন আপনি যদি আপনার ভিডিওটিকে সার্চ Rank এ নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিডিওর টাইটেল, ট্যাগ এবং ডেসক্রিপশনে তৌহিদ আফ্রিদি ফানি ভিডিও লিখে আপনার ট্যাগ দেন এবং ক্লিক নেয়ার জন্য থাম্বনেইলও যদি অন্যকিছু দেন তাহলে তা স্প্যাম হবে।
* অতিরিক্ত #হ্যাস ট্যাগ ব্যবহার করাঃ-
আপনার ভিডিওতে ইউটিউবের রুলস অনুযায়ী ১৫টি পর্যন্ত ইউজ করতে পারবেন এর বেশি করলে তা স্প্যাম হয়ে যাবে৷ তবে আমি আপনাকে বলবো ৫-৬টার বেশি #হ্যাসট্যাগ ইউজ না করাই ভালো। হ্যাসট্যাগ হচ্ছে, আপনি কারও ভিডিওর নিচে দেখবেন # দিয়ে কিছু ট্যাগ শো করে সেইগুলা। এগুলা আপনি কিভাবে ইউজ করবেন, তা এই বইয়ের প্রশ্ন উত্তর পর্বে জানিয়ে দিবো।      
স্প্যাম ইউটিউবের কাছে অনেক খারাপ একটি বিষয়, তাই আশা করি আপনারা কখনও স্প্যাম করবেননা। নাহলে ইউটিউব অটোমেটিক আপনার চ্যানেল সাসপেন্ড করে দিতে পারে। এই স্প্যামের ফলে আপনার চ্যানেল দ্রুত গ্রো নাও হতে পারে। তাই আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন স্প্যাম কাজগুলি এড়িয়ে চলার।

পরবর্তী পার্ট

More Item

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন