হ্যাকারের লুকোচুরি সিজন-২, পর্ব ১৯. শারিক্স ধ্রুব (Sharix Dhrubo) মাফিয়া বয় & মাফিয়া গার্ল।
হ্যাকারের লুকোচুরি, সিজন-২, পর্ব -১৯.
সিজন_২
.
পর্ব ১৯
.
অন্যসব বাদ দিয়ে রাফি তার প্রয়োজন নিয়ে বসে পড়ে পিকাচুর সামনে,
রাফি - পিকাচু, আমার টাকার দরকার, প্রচুর টাকার দরকার।
পিকাচু - Feeding money ..... calculating.....
I can control most of the digital money of the world.
রাফি - না। সবার টাকা আমার প্রয়োজন নেই। আর অন্যের টাকায় বড়লোক হতেও চাইনা। এই বিপদ থেকে বাঁচতে আমার টাকার প্রয়োজন, এমন টাকা খুঁজে বের করো যে টাকা খোয়ালে কেউ খোঁজ করবে না।
পিকাচু - Accessing public record ..... Gathering account info....... calculating........
You can still be a billionaire.
রাফি - পিকাচু, কি করেছো তুমি?
পিকাচু - মানুষ মারা যায়, কিন্তু তাদের ব্যাংক একাউন্ট ক্লোজ হয় না। যদি একাউন্ট হোল্ডারের নমিনি সহ কোন দাবিদার না থাকে তাহলে সেই টাকা ব্যাংকেই পড়ে থাকে। পিকাচু শুধু এই ধরনের ব্যাংক একাউন্ট খুঁজে বের করেছে যারা পাবলিক রেকর্ডে মৃত ঘোষিত হয়েছে এমনকি কোন দাবিদারও বেঁচে নেই।
রাফি ভেবে দেখলো এমন একাউন্টের টাকা নেয়া ঠিক হবে কি না! এতকাল ধরে মাফিয়া বয় একটা মাইটি ইমেজ ছিলো হোয়াইট হ্যাটসদের কাছে। শেষমেশ কিনা টাকা চুরি করা শুরু করলো রাফি!
পিকাচু - You can have it or not is upto you. Take it or leave it.
রাফি জানে যে তাকে সততার চরম মূল্য দিতে হবে, কারন যদি মাফিয়া গার্ল রাফির বাবা মা আর তোহাকে বন্দি করে ওই নিউক্লিয়ার সাবমেরিন ও স্যাটেলাইট দখল নিয়ে দিতে বলে তাহলে রাফির হাতে কোন অপশনই থাকবে না। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু একটা মাথায় এলো রাফির,
রাফি - ওয়েট ওয়েট ওয়েট........ নিউক্লিয়ার এক্টিভেশন ডিভাইস চুরি গেছে, সেটা নিশ্চই এক্টিভ ছিলো না! এক্টিভেশন ডিভাইস এক্টিভ করতে নিউক্লিয়ার লঞ্চ কোডের দরকার পড়বে। অথেনটিক লঞ্চকোড ছাড়া না এক্টিভেশন ডিভাইস কোন কাজে দেবে আর না ওই নিউক্লিয়ার বোমা। লঞ্চকোডের কোন কথা তো উল্লেখ করলো না মাফিয়া গার্ল!
রাফির কাছে এখন পুরো ব্যপারটা একটা সাজানো নাটক মনে হতে লাগলো আর কোন বড়সড় প্লানের জালে নিজেকে ফাঁসতে দেখলো।
নাহ যে কোন মূল্যেই হোক বাবা মা আর তোহা কে মাফিয়া গার্লের থাবা থেকে বাঁচাতেই হবে আর সাথে পিকাচুকেও দূরে রাখতে হবে মাফিয়া গার্ল থেকে।
রাফি - পিকাচু, আমার দেশে এমন পড়ে থাকা একাউন্ট থেকে কত টাকা বের করা সম্ভব?
পিকাচু - Calculating.........
রাফি স্ক্রীনে ১০ সংখ্যার একটা এমাউন্ট দেখতে পায়।
রাফি - কিহ!!! এত টাকা! বেওয়ারিশভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে! আমি চাইলেই এই টাকা নিজের করে নিতে পারবো?
পিকাচু - Affirmative.
রাফি - এত টাকা দরকার নেইই আমার। বাবা মা আর তোহাকে সরিয়ে কোন নিরাপদ জায়গায় রাখতে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করবো।
পিকাচু - Your wish is my command.
রাফি - পিকাচু, বাবা মা এবং তোহাকে রাখার মত কোন সেফহাউজের ব্যবস্থা করতে পারবে কি, মাফিয়া গার্লের রাডারের বাইরে!
পিকাচু - There is a lots of ways but none of them are recommended.
রাফি - আমার একটা সেফহাউজ লাগবে যেখানে আমার ফ্যামিলি নিরাপদ থাকবে মাফিয়া গার্লের নজরের বাইরে, এতটুকুই। আর কোন অতিরিক্ততা চাই না।
পিকাচু - তুমি কি তাদেরকে তোমার কাছে আনতে চাও?
রাফি - পিকাচু, তোমার হঠাৎ এমন মনে হওয়ার কারন কি? আর তাদেরকে আমার কাছে এনে কোথায় রাখবো!
পিকাচু - পিকাচু এক্টিভেট হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত টোটাল এক্টিভিটিসের ৭০% ছিলো ফ্যামিলি রিলেটেড। পিকাচুর ক্যালকুলেশন বলে যদি তোমার ফ্যামিলি তোমার আশে পাশে থাকে তাহলে তোমার স্ট্রেস লেভেল ৪০% কমে যাবে এবং অন্যান্য কাজের ফোকাস ৫৬% বাড়তে পারে।
রাফি পিকাচুর এ্যনালাইসিস দেখে হতভম্ব হয়ে গেলো। হিউম্যান ইমোশন এবং এ্যাটাচমেন্টকে গানিতিক রুপে প্রেজেন্টেশন এর আগে কখনো দেখে নি রাফি। পিকাচুর আনফিনিশড কোডিং হয়তো রাফি করেছিলো কিন্তু সাইবার ওয়ার্ল্ডের কোটি কোটি মানুষের বিহেভিয়ার এ্যানালাইসিস করে পিকাচু এক একটি নতুন উপসংহার তৈরী করছে প্রতিনিয়ত। এখনো অনেককিছুই জানা বাকি পিকাচু সম্পর্কে।
রাফি - সেটা তো বুঝতে পারলাম কিন্তু বাবা মা আর তোহাকে কিভাবে আমার কাছে নিয়ে আসবো? তাদের পাসপোর্ট থাকলেও এই দেশের ভিসা তো নেই। তাহলে কিভাবে আসবে তারা?
পিকাচু - তারা যদি প্লানমাফিক চলে তাহলে আমি তাদেরকে এই লোকেশন পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারবো।
পিকাচু মনিটরে একটা জিপিএস লোকেশন শো করে যা আসলেই পৃথিবীর বৃহত্তম দেশের একটা শহরে পয়েন্ট করে আছে।
রাফি - ওখানে কি আছে? ওখানে আমার পরিবার নিরাপদ থাকবে কিভাবে?
পিকাচু - ওটা একটা পরিত্যাক্ত আর্মি বেস তবে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর এখানে তৎকালীন সময়কার এক অত্যাধুনিক বাংকার রয়েছে যেখানে তুমি এবং তোমার পরিবার সম্পূর্ণ নিরাপদে থাকবে।
রাফি - কিন্তু তুমি তাদেরকে এখানে আনবে কিভাবে পিকাচু?
পিকাচু - Accessing global safehouse data......
তোমার বাবা মা যে বাড়িতে আছেন তার কাছাকাছি একটা বেসরকারী আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার জোনাল হেড অফিস রয়েছে, যেটা আসলে একটি দেশের গুপ্তচরদের সেফহাউজ। আমি তোমার বাবা মা এবং তোহা কে আন্তর্জাতিক মামলার স্বাক্ষী দেখিয়ে ওই সেফহাউজে ঢোকার ব্যবস্থা করে দিতে পারি। পরবর্তীতে প্রোটোকল অনুযায়ী ওই সেফহাউজই তোমার বাবা মা এবং তোহার ডুপ্লিকেট পাসপোর্ট ভিসা বানিয়ে তাদের এই বৃহত্তম দেশে ডিপোর্ট করার ব্যবস্থা করে দেবে।
রাফির কিছুটা সম্মানে লাগে, শেষ পর্যন্ত বাবা মা আর তোহাকে চোরের মত দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে হবে! যা করেছে তা তো সব রাফিই করেছে, রাফির পরিবার তো কোনকিছুতেই জড়িত নেই, আর তাছাড়া কিছুদিন পর টাস্কফোর্সের নতুন রিপোর্ট অনুসারে রাফিকে হয়তো নির্দোষ ঘোষনা করে দেবে কোর্ট। এমন অবস্থায় অন্যের টাকা চুরি করে নিজের পরিবারকে আরো বেশী ছোট করে লুকিয়ে তাদেরকে এই বন্দি জীবন উপহার দিতে পারবে না রাফি।
রাফি - পিকাচু, প্লান ভালো তবে আমার এই দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করার কোন ইচ্ছা নেই, এখন সমস্যার কারনে আছি। সমস্যা না থাকলে আমি আমার দেশে ফিরে যাবো। বাবা মা এবং তোহাকে দেশ থেকে ওই প্রোসেসে নিয়ে আসার মত ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরী হয় নি।
আচ্ছা বাবা মা কে গ্রামের বাড়ি রেখে আসার ব্যবস্থা করলে কেমন হবে, এত প্রযুক্তির কালো থাবা ও নেই আর রাফিদের বাপ দাদার ভিটা চেয়ারম্যান বাড়ি হিসেবে সারা গ্রামে পরিচিত। সেখানে আইন আর সমাজের মাথা বলা হয় ওই চেয়ারম্যান বাড়ি। সেখানে কোন ঝামেলা করার ক্ষমতা মাফিয়া গার্লের হওয়ার কথা না। এছাড়াও আর কোন আইনী সমস্যা করতে যাবে না কেউ।
রাফির কাছে নিজের মা বাবা আর তোহাকে দেশের বাইরে নিয়ে আসার থেকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া বেশী নিরাপদ মনে হতে লাগলো।
রাফি - পিকাচু, মা বাবার কাছে থাকা ফোনের আপডেট জানাও,।
পিকাচু - Scanning ...........
পিকাচু মনিটরে মোবাইল ফোনের বর্তমান লোকেশন পিনপয়েন্ট করে দেখালো যা রান্নাঘরের কোন এক শেলফ এ শো করছে।
রাফি - পিকাচু, মাইক্রোফোন স্ক্যান করে দেখো আশেপাশে কেউ আছে কি না?
কারন রাফি জানে যে ঘরের ভেতর তার মা এর ফেবারিট প্লেস হলো রান্নাঘর। আর কিছু হোক আর না হোক, মা ঘুরেফিরে রান্নাঘরের দিকেই থাকে। আর বডিগার্ডদের যদি মা রান্না করেও খাওয়ায় তবুও তাদের কখনো রান্নাঘরের আশেপাশে ঘেষতেও দেবে না, এটা মায়ের মসজিদ বলা যায়।
পিকাচু - পিকাচু কিছু আওয়াজ ডিটেক্ট করছে যা রান্নাঘরের ভেতর থেকেই আসছে।
রাফি বুঝতে পারে মা হয়তো কিছু রান্না করছে।
রাফি - পিকাচু, তুমি কি মোবাইলটাতে আমার ভয়েস বাইপাস করে দিতে পারবে? রান্নাঘরের ভেতরে যেন মিনিমাম সাউন্ডে আমার ভয়েস শোনা যায়। সম্ভব?
পিকাচু - Difficult but not impossible.......
checking minimum distance ........
Speaker adjusted.
Now you can talk.
রাফি - মা? ও মা?
পিকাচু - ঘরের অন্যান্য আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেছে, we got her attention.
কিছুক্ষণ চুপচাপ নীরবতা, কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে রাফি আবার বলতে থাকে,
রাফি - মা? আমি ফাষ্টফুড প্যাকেটের ভেতর, তোমার রাফি।
পিকাচু মাইক্রোফোনে শোনে কে যেন খচমচ করে কাগজের প্যাকেট ছিড়ছে।
রাফি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলো এই মুহূর্তের জন্য, বার বার উপওয়ালার কাছে প্রার্থনা করতে থাকে, যেন মা হয়, যেন মা হয়, যেন মা হয় বলতে বলতে।
খচমচ আওয়াজ বন্ধ হয় আর ওপাশ থেকে কন্ঠ ভেসে আসে।
মা - হ্যালো। কে?
ততক্ষণে পিকাচু স্পিকারের সাউন্ড এডজাষ্ট করে দিয়েছে।
রাফি - মা, আমি রাফি। সাবধানে, কেউ যেন না দেখে তোমাকে ফোনে কথা বলতে।
মা - কেন কি হয়েছে।
রাফি - মা এখন যা বলছি সেটা শোনো, কেমন আছি কিভাবে আছি কোথায় আছি তা পরে বলছি। এখন এমন এক জায়গায় গিয়ে কথা বলো যেখান থেকে কেউ তোমার কথা শুনতে বা তোমাকে কথা বলতে দেখবে না, আর হ্যাঁ কেউ যেন তোমার হাতে ফোন না দেখে।
মা - আচ্ছা, লাইনে থাক।
বলে চুপ হয়ে গেলেন মা। পিকাচু মনিটরে শো করে মা রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দার দিকে যাচ্ছেন।
মা - হ্যাঁ বল, কি হয়েছে! এত লুকোচুরি করছিস কেন! আর আলুভাজার ভেতরে তুই কি করছিস?
রাফি - তোমার সব প্রশ্নের উত্তর আমি দিবো, এখন এত প্রশ্ন না করে আমার প্রশ্নের জবাব দাও, বডিগার্ডগুলো কোথায়?
মা - বাইরের গার্ডহাউজে থাকতে পারে, একজন আছে হয়তো ঘরের বাইরে। কেন কি হয়েছে?
রাফি - সবসময় ই কি এভাবে গার্ডহাউজে থাকে নাকি বাসার ভেতরেও আসে?
মা - আসে তো, নাস্তা করতে আসে আর খাওয়ার সময় আসে। ভালো ছেলে সব, ভদ্র।
রাফি - আর তোমার বৌমা কোথায়?
মা - আজ তো আসার কথা ছিলো। পিৎজা দেখে ভেবেছিলাম হয়তো এখনই আসবে কিন্তু এলো না তো, আর পিৎজা কি তুই পাঠিয়েছিস?
রাফি - তোমাদের সাথে কথা বলার জন্য এছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না তো। তাহলে তোহা আজ আসবে?
মা - আজ না এলেও কাল ঠিকই চলে আসবে। ও যাওয়ার সময় বলেছিলো আজ কালকের ভেতর চলে আসবে।
রাফি - তাহলে তো খুবই ভালো। তোমাদের আর শহরে লুকিয়ে থাকতে হবে না। গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য তৈরী হও।
মা - এই বুড়ো বয়সে আর কত ছুটাছুটি করাবি রে। এখন আবার গ্রামের বাড়ি! তোর বাবা তো মহা খুশি হবে যদি গ্রামের কথা শোনে।
রাফি - আপাতত বাবার সাথে গ্রামে যেয়ে কয়েকদিন ঘুরে আসো, ততদিনে এইদিকটা সামলে নিবো আমি। মোবাইলটা কাছাকাছি রেখো, কথা বলতে ইচ্ছা হলে লাষ্ট নাম্বার ডায়াল করলেই হবে। আর কোনভাবেই বডিগার্ডরা যেন না জানে।
মা - ঠিক আছে ঠিক আছে।
রাফি - তোমার ভালো ছেলে বডিগার্ডগুলো কি করে সন্ধ্যার দিকে?
মা - ওরেহ বাব্বা। সন্ধ্যায় তো পুরা মিলিটারি স্টাইলে টহল চলে, সারা বাড়ির আঙ্গিনা চোষে বেড়ায় তিনজন মিলে।
রাফি - তখন কেউ ঘরের ভেতর আসে না! তিনজনই বাইরে থাকে?
মা - তাই তো দেখি, বাইরেই ঘোরাঘুরি করতে থাকে ঘন্টাখানেক, তারপর খেতে আসে।
রাফি - আচ্ছা ঠিক আছে। এখন রাখছি। আবারো বলছি, ফোনটা সাবধানে রেখো, বডিগার্ড থেকে দূরে।
মা - আমার তো কোন প্রশ্নেরই উত্তর দিলি না, এটা তো বল যে তুই ভালো আছিস কি না?
রাফি - আলহামদুলিল্লাহ, তোমরা কেমন আছো?
মা - আছি ভালই, আলহামদুলিল্লাহ।
রাফি -তোমরা ভালো থাকলেই আমি ভালো থাকবো। সবকিছু রেডি করে রেখো। যত দ্রুত সম্ভব তোমাদের ওই বাসা থেকে বের করে গ্রামের বাড়ি নেয়ার ব্যবস্থা করবো। ভালো থেকো।
মা - তুইও ভালো থাক বাবা। জলদি ফিরে আয় মায়ের কাছে। (ফুপিয়ে কান্নার আওয়াজ)
রাফি - আরে মা, কাঁদে কেন! আমি ফিরে আসবো তো। সব ঠিক করার সময় তো দাও। রাখছি মা।
ওপাস থেকে রাফির মা ফোন রেখে দিলো। পিকাচুর নিয়ন্ত্রণে মাইক্রোফোন থাকায় রাফি তখনো মায়ের ফুপিয়ে কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়। রাফির বুকটা মোচড় দিয়ে ওঠে। মায়ের কষ্ট দেখেতে পারে না সে মোটেই।
রাফি - পিকাচু, দেশের লোকাল টাইমের সাথে ম্যাচ করো, আগামীকাল বাবা মা কে বের করার ব্যবস্থা করতে হবে। টাইম কাউন্ট করা শুরু করো। আগামীকালকে মাফিয়া গার্লের স্যাটেলাইট ব্লাইন্ড টাইমেই বের করে গ্রামে পাঠিয়ে দেবো সরাসরি।
পিকাচু - You forget to mention Toha.
রাফি - তোহার জন্যই আগামীকাল সিলেক্ট করা, না হলে আজই বের করে নিয়ে আসতাম বাবা মা কে।
পিকাচু - Countdown started T minus 30 hours and 23 minutes for next day satellite blindspot.
রাফি হিসাব করে দেখে আগামী ৮ ঘন্টার ভেতর পিকাচু তার নিজের ট্যাক্টিকাল স্যাটেলাইটে আপলোড হওয়া শুরু করবে। তারপর আর রাফির এই সেফহাউজ থেকে বের হওয়া নিয়ে কোন পিছুটান থাকবে না।
ব্লাইন্ডস্পট টাইমে গার্ডদের এক্টিভিটিস ম্যাক্সিমাম থাকে। তাই বাড়ির সামনে বা ভেতরে একটা গ্যাঞ্জাম বাঁধিয়ে দিতে পারলে গার্ডদের এটেনশন টেনে নিয়ে আসা যাবে আর ওই ফাঁকে বাবা মা কে বের করে নিয়ে আসা যাবে। তখন পিকাচু ক্যামেরায় গ্লীচ করে দিতে পারবে।
রাফি ফোন দেয় রকিবকে।
রাফি - রকিব, তোদের ক্লাবের গ্যাং টা কি এখনো আছে?
রকিব - আছে মানে! পুরো তরতাজা। কি লাগবে বল।
রাফি - আগামীকাল সন্ধ্যা ৭ টার পর তোদের সবাইকে আমি এই ঠিকানায় দেখতে চাই, বলে পিকাচুর মাধ্যমে রকিবকে একটা জিপিএস লোকেশন পাঠায় যা ওই সেফ হাউজ থেকে মাত্র ৫ মিনিটের দূরত্বে।
রকিব - এ সবাইকে নিয়ে ওখানে যাওয়া তো ঝামেলা হয়ে যাবে।
রাফি - ৫ টা বড় মাইক্রো ভাড়া করবি আর দেখবি কোন গাড়িতে যেন জিপিএস সিস্টেম না থাকে। আমি সব খরচপাতি পাঠাচ্ছি। আর হ্যাঁ কাল লোকেশনে পৌছানো পর আমি না বলা পর্যন্ত কেউ গাড়ি থেকে বের হবি না।
রকিব - তারপর কি করতে হবে।
রাফি তখন রকিবের সাথে মিলে একটা প্লান বানায় বাবা মা কে ওই বাড়ি থেকে বের করার জন্য।
রাফি - ঠিক আছে দোস্ত, তাহলে ওই কথাই রইলো। তোর একাউন্ট চেক কর।
রাফি কীবোর্ডে হাত চালিয়ে কিছু একটা করলো।
রকিব - কি রে তুই আমার একাউন্ট নাম্বার পেলি কোথায়? আর এত টাকা কার জন্য পাঠিয়েছিস।
রাফি - তোদের সবার জন্য আর বাবা মা কে গ্রামে পাঠিয়ে দিতে খরচপাতি তো আছেই। কাল ঠিকসময় পৌছে যাস।
রকিব - চিন্তা করিস না। যেভাবে প্লান করছি ওভাবেই হবে।
রাফি ফোন রেখে দেয়। রকিব আর ক্লাবের সবাই মিলে প্লানটা সফলভাবে খাটাতে পারলে বাবা মা কে বের করে নিয়ে আসা যাবে খুব সহজেই। এখন শুধু কালকের অপেক্ষা।
রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে রাফি নিজের এক্সিট প্লান নিয়ে বসে। সার্ভারের পেছনে লুকিয়ে রাখা ম্যাপটা বের করে আনে। ম্যাপটা বেশ পুরাতন।
রাফি - পিকাচু, আমি স্ক্যানার একটা ম্যাপ দিচ্ছি, ম্যাপটা স্ক্যান করো আর লোকেশনটা এই শহরের ব্লুপ্রিন্টে এড করে নাও। আর স্যাটেলাইট দিয়ে স্ক্যান করে বলো আসলেই এমন কোন আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যানেল আছে কি না।
পিকাচু - scanning..... map acquired ..... Accessing satellite images ...... synchronizing........ blueprint updated. Underground tannel found.
রাফি দেখতে পার পিকাচু আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যাপটা স্যাটেলাইট ব্লুপ্রিন্ট ম্যাপের সাথে আপডেট করে নিয়েছে। আর স্যাটেলাইট স্ক্যানিং এ ট্যানেলের অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়।
রাতটা কেটে যায় সব প্লান সাজাতে সাজাতে। অনেককিছু করতে হবে। অনেককিছু করা বাকী।
পরবর্তী পর্ব
এইরকম আরও সুন্দর গল্প পড়তে Sharix Dhrubo ফেসবুক পেইজটিতে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।
বিভিন্নরকম গল্প, ফ্রী বই, ফ্রী প্রো অ্যাপস, টেকনোলজি যেকোন হেল্প পেতে সাইটটির সাথেই থাকুন এবং আমাদের ইউটিউব চ্যানেল IT RafiuL AhsaN সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
More Item
!->
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন