-->

YouTube Studio অ্যাপস এর ব্যবহার। ব্রান্ড একাউন্টের উপকারিতা। রিইউজড কি এবং এর ক্ষতি।



YouTube Studio অ্যাপস দিয়ে কি করা যায়? 


YouTube Studio সকল ইউটিউবারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপস। এই অ্যাপসটির মাধ্যমে চ্যানেল এবং ভিডিওর সম্পূর্ণ ডিটেইলস জানা যায়। এটি দিয়ে কি কি করা যায় তা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত একটু ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবোঃ-
* কোন ভিডিওর থাম্বনেইল এবং ট্যাগ অ্যাডঃ- আপনি যে ভিডিওর থাম্বনেইল কিংবা ট্যাগ অ্যাড করতে চাচ্ছেন, এই অ্যাপসে আপনার চ্যানেল লগইন করে সেই ভিডিওতে ক্লিক করে উপরে একটি ভিডিওর ছবি দেখতে পারেন। সেটিতে ক্লিক করে প্রথমেই একটি প্লাস(+) অপশন দেখতে পারেন। সেখানে ক্লিক করে মেমোরি থেকে থাম্বনেইল সিলেক্ট করে ইউজ করতে পারেন এবং সেখানে একটু নিচে গেলে ট্যাগ অপশন দেখতে সেখানে আপনার রিসার্চ করা ট্যাগগুলি অ্যাড করে উপর থেকে Save এ ক্লিক করে সেভ করবেন।
* আপনার সব ভিডিওতে কত ভিউস হইছে এবং তা ৪৮ ঘন্টা আগে কত হইছে, ১মাস আগে কত হইছে ১বছর আগে কত হইছে সবকিছু সাইড মেনুতে ক্লিক করে Analytics এ গিয়ে প্রথমেই দেখতে পারবেন। এরপর ঠিক সেমভাবে ওয়াচটাইমও দেখতে পারবেন তার পরের অপশন থেকে। 
* ঠিক সেমভাবে এভারেজ কত মিনিট ধরে আপনার ভিডিও দেখেছে, কোনদিন কতজন সাবস্ক্রাইব করেছে সকল ডিটেইলস ক্লিক করে করে দেখতে পারেবন।
* এরপর REVENUE এ ক্লিক করে কোনদিন কেমন ইনকাম করলেন তা দেখতে পারবেন।
* এরপর DISCOVERY তে ক্লিক করলে সম্পূর্ণ ভিডিএগুলি কতজন মানুষের কাছে পৌঁছেছে তা ইম্প্রেশন দেখলেই বুঝতে পারবেন এবং সেগুলোর মধ্যে কত % লোক আপনার ভিডিওতে ক্লিক করে দেখেছে তাও আপনি দেখতে পারবেন।
* এরপর Traffic Source থেকে দেখতে পারবেন কিভাবে মানুষজন আপনার ভিডিওটি পেয়েছে তা এখানকার % রেট দেখলেই বুঝতে পারবেন। ঠিক সেমভাবে এক্সটার্নাল সোর্সও দেখতে পারবেন কোথায় থেকে আপনার ভিডিওতে ভিউস এসেছে।
* এরপর আপনি Top YouTube Search Terms এ দেখতে পারবেন বেশ কিছু ভিডিও রিলেটেড কিওয়ার্ড দেয়া আছে। মানুষজন এই লিখাগুলি সার্চ দিয়ে আপনার ভিডিওটি পেয়েছে। এখন আপনি যদি ভিডিওতে আরও ভালো ভিউস নিয়ে আসতে চান তাহলে এই বাক্যগুলি আপনার ভিডিওর ট্যাগ অপশনে অ্যাড করতে পারেন। এতে আপনার ভিডিওতে আরও ভালো পরিমাণে ভিউস আসার সম্ভাবনা রয়েছে। 
* এর পর আপনি দেখতে পারবেন কোন কোন ভিডিওর সাজেশনে আপনার এই ভিডিওগুলি শো করেছে তা দেখতে পারবেন। 
* এরপর AUDIENCE এ দেখতে পারবেন ছেলে কত% আপনার ভিডিও দেখে, মেয়ে কত% দেখে। কোন বয়সের মানুষ কত% দেখে এবং কোন দেশের মানুষ কত% দেখে তাও এখান থেকে দেখতে পারবেন। 
এছাড়াও আরও রয়েছে তা বিস্তারিত বলা সম্ভব নয় তাই আপনি নিজেই ক্লিক করে করে দেখবেন।
এতক্ষণ যা বললাম তা হলো সম্পূর্ণ ভিডিওর ডিটেইলস কিন্তু আপনি কোন একটি ভিডিওর ডিটেইলস দেখতে চাইলে সেই ভিডিওতে ক্লিক করুন। এরপর Go to video Analytics এ ক্লিক করলে এখন আপনি শুধুমাত্র সেই ভিডিওর ইনফরমেশনগুলো দেখতে পারবেন।



ব্রান্ড একাউন্ট কি এবং এর উপকারিতা কি?


ইউটিউব চ্যানেল ২প্রকার হয়ে থাকে. 
১. মূল/ডিফল্ট মেইলে চ্যানেল।
২. ব্রান্ড একাউন্টে চ্যানেল।
ব্রান্ড একাউন্টে চ্যানেল থাকলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ- 
* একই চ্যানেলে একাধিক মেইল অ্যাড করা যায়৷ আপনি যদি মূল মেইলে চ্যানেলটি রাখেন, তাহলে সেই চ্যানেলে অন্য কোন মেইল অ্যাড করতে পারবেননা কিন্তু ব্রান্ড একাউন্টে থাকলে সেখানে আপনি আপনার ইচ্ছামতো এডমিন এবং ম্যানেজার অ্যাড করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি চাইলেই আপনার পুরাতন মেইলকে রিমুভ দিয়ে অন্য কোন মেইলকে চ্যানেলের মেইন এডমিন হিসেবে কানেক্ট করতে পারবেন। 
* আপনার অন্যকোন মেইল হ্যাক করলেও তা থেকে সহজেই চ্যানেল হ্যাক করতে পারবেনা। কারণ অন্য কোন মেইলকে প্রাইমারি এডমিন সিলেক্ট করতে কয়েকদিন সময় লাগে। আপনি চাইলে এই কয়েদিনের মধ্যে মেইলটি রিকোভার করতে পারেন।
* ব্রান্ড একাউন্টে চ্যানেল থাকলে আপনি প্রাইমারী এডমিনকে মোবাইল থেকে ডিসকানেক্টেড করে অন্য কোন মেইলকে ম্যানেজার রাখতে পারেন এবং সেটি দিয়ে যাবতীয় কাজ যেমন- ভিডিও আপলোড, এডিটিং, ট্যাগ, টাইটেল, থাম্বনেইল অ্যাড থেকে শুরু করে সবকিছুই করতে পারবেন। 
* ডিফল্ট মেইলে চ্যানেলটি থাকলে আপনার মেইলের যে নাম থাকবে, আপনার চ্যানেলেরও ও সেই নাম থাকবে। মেইলের নাম পরিবর্তন করলে চ্যানেলেরও পরিবর্তন হয়ে যাবে। তবে ব্রান্ড একাউন্টে থাকলে আপনার মেইলের জন্য আলাদা নাম এবং চ্যানেলের জন্য আলাদা নাম ইউজ করতে পারবেন।
* ডিফল্ট মেইলে চ্যানেলটি থাকলে, কোন কারণে মেইলটির সমস্যা হলে, আপনার চ্যানেলটিও সাসপেন্ড হয়ে যাবে তবে ব্রান্ড একাউন্টে যেহেতু একাধিক মেইল অ্যাড করা যায়। তাই এই সমস্যাটি আশা করি হবেনা।



রিইউজড কি? এর ফলে কি সমস্যা হবে?


রিইউজ মানে হচ্ছে পূনরায় ব্যবহার করা। কোন ভিডিও ইউটিউবে আছে সেই ভিডিওটি আপনি পূনরায় ব্যবহার করলেন, এটিই মূলত রিইউজড। সেটি আপনার কোন ভিডিও হোক কিংবা অন্য কারও।
ধরুন আপনি আপনার একটি ভিডিও একটি চ্যানেলে আপলোড দিয়েছেন, পরবর্তীতে আবার ওই একই ভিডিওটি আপনার অন্য একটি চ্যানেলে আপলোড দিলেন। তাহলে আপনার ২য় চ্যানেলটি রিউজড করার ফলে সেই চ্যানেলে মনেটাইজ দিবেনা। 
ক্রিয়েটিভ কমন্স থেকে ভিডিও ডাউনলোড করেই আপলোড দিলে তা রিইউজডের মধ্যে পড়ে যাবে। তাই সেখান থেকে ডাউনলোড করে, আপনার ভিডিওর সাথে মিক্সড করে ইউজ করতে পারেন। এতে কোন সমস্যা হবেনা আশা করি।
                  
কোন ভিডিওর অংশ হোক কিংবা ফুল ভিডিও হোক না কেন, সবগুলোতে রিউজড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপনি চেষ্টা করবেন একই ভিডিও পূনরায় কোথাও ব্যবহার না করার। কারণ অধিকাংশ চ্যানেলে মনেটাইজ অন করতে গিয়ে বলে রিউজডের জন্য মনেটাইজ অন হচ্ছেনা কিংবা আপনার চ্যানেলে যদি মনেটাইজ অন থাকে তবুও রিইউজডের ফলে মনেটাইজ ডিজেবল হয়ে যেতে পারে।
তবে আপনি যদি চান আপনার পুরাতন চ্যানেলের ভিডিও নতুন কোন চ্যানেলে আপলোড দিবেন, তাহলে আপনি সেই চ্যানেল থেকে ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিয়ে তারপর চ্যানেল থেকে ভিডিওটি রিমুভ করে দিবেন। এরপর আপনার নতুন চ্যানেলে সেই ভিডিওটি আপলোড দিতে পারেন, এতে কোন প্রকার সমস্যা হবেনা আশা করি।

পরবর্তী পার্ট

More Item

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন