হ্যাকারের লুকোচুরি সিজন-২, পর্ব ১৭. শারিক্স ধ্রুব (Sharix Dhrubo) মাফিয়া বয় & মাফিয়া গার্ল।
হ্যাকারের লুকোচুরি, সিজন-২, পর্ব -১৭.
সিজন_২
পর্ব-১৭
রাফির মনে পড়ে রকিবের কথা। "ওহহো রকিবকে ফোন দেয়ার কথা" জিভ কামড়ে ধরে রাফি।
রাফি - পিকাচু, রকিবকে কন্ট্যাক্ট করো।
পিকাচু - communicating.........
রকিব - আননোন নাম্বার থেকে কল দেখেই বুঝছি যে তুই ফোন দিয়েছিস।
রাফি - ফোন নিয়েছিস নতুন!?
রকিব - হ্যাঁ নিলাম, নে নাম্বারটা নে।
রকিব নাম্বারটা বলতে থাকে আর পিকাচু নোট করে নেয়। রাফি পিকাচুকে কমান্ড দেয় নাম্বারটির রেকর্ড মুছে ফেলতে আর নাম্বারটি সিকিউর করতে। পিকাচু ও কাজ শুরু করে দেয়।
রাফি - আচ্ছা তুই বের হতে পারবি কখন?
রকিব - তুই বললে এখনই।
রাফি - আচ্ছা বের হ। ঠিকানামত পৌছালে আমার নাম্বারে ফোন দিস।
রকিব - তোর নাম্বার তো বন্ধ বহুদিন ধরে। আচ্ছা ঠিক আছে ফোন দিবো, এখন ঠিকানাটা দে।
রাফি পিকাচুকে নির্দেশনা দিলো রকিবকে ঠিকানাটি মেসেজ করতে। পিকাচু ও জিপিএস লোকেশন সই ঠিকানাটি পাঠিয়ে দিলো।
রাফি - তোর ফোন চেক কর। ঠিকানা পাঠিয়ে দিয়েছি।
রকিব - (কিছুক্ষণ চুপ থেকে) হ্যাঁ পেয়েছি। আচ্ছা বের হচ্ছি আমি।
রাফি - ফি আমানিল্লাহ।
রকিব ফোনটা কেটে দেয়। কল কাটার পরপরই একটা মেসেজ পায় রাফি। মাফিয়া গার্ল,
"Congratulations, Mafia boy. Well done miles to go."
রাফি বুঝতে পারে মাফিয়া গার্ল হয়তো প্রেস রিলিজ ফলো করেছে, আর হয়তো ধরতে পারে নি রাফির প্লান।
রাফি পিকাচু নিয়ে বসে পড়ে। রাফি জানে যে মাফিয়া গার্ল যদি ওর বাবা মা আর তোহার সিকিউরিটির দায়িত্ব নেয় তাহলে অবশ্যই কোন না কোনভাবে অনলাইন প্রযুক্তির সাহায্য নেবেই।
রাফি - পিকাচু, ওই ঠিকানায় কোন সিসিটিভি ক্যামেরা ছিলো না। তারপরও চেক করো কোন ক্যামেরা আছে কি না।
পিকাচু - Accessing all available internet network around the pinpoint .......
রাফি - পিকাচু, এভাবে কি খুঁজছো?
পিকাচু - যদি কোন সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ অনলাইনে ট্রান্সমিট করতে হয় তাহলে মালিককে অবশ্যই কোন না কোন ইন্টারনেট প্রোভাইডার এর নেটওয়ার্কের সহায়তা নিতে হয়েছে। হতে পারে মোবাইল নেটওয়ার্ক অথবা ব্রডব্যান্ড। আমি যদি নেটওয়ার্কগুলোকে একসেস করতে পারি তাহলে খুব সহজেই ধরতে পারবো কোন কোন কানেকশনগুলো সিসিটিভি ফিড ট্রান্সমিট করছে।
রাফি - তার মানে তুমি এখন ওই এলাকার গোটা ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক হ্যাক করবে!
পিকাচু - Affirmative.
রাফি দেখতে পায় পিকাচু ওই ঠিকানাকে মিডপয়েন্ট ধরে আশেপাশে একটা সার্কেল করে সার্চ এরিয়া তৈরী করে আর তারপর ওই সার্কেলের ভেতর থাকা প্রতিটা মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানির নেটওয়াকিং সিস্টেম হ্যাক করছে পিকাচু। এত সহজে এতগুলো কোম্পানীর নেটওয়ার্ক সিস্টেম হ্যাক করা বাচ্চার হাতের মোয়া নয়। নেটওয়ার্কের কন্ট্রোল নিয়ে নেয়ার পর এলাকায় থাকা প্রতিটা অনলাইন ডিভাইসই পিকাচুর নাগালে চলে আসলো, শুধু যে সিসিটিভি নাগালে পেলো তা নয়।
পিকাচু - I can control anything in this network.
রাফি - আপাতত, বাড়িতে বা বাড়ির আশপাশে কোন সিসি ক্যামেরা আছে কি না তাই দেখো।
পিকাচু বাড়ির সদর দরজার বিপরীত বাড়িতে সিসি ক্যামেরা পেলো। সেখানে ২ টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে ঠিক রাস্তা বরাবর যা দিয়ে রাস্তার বিপরীতের বাড়ি স্পষ্ট দেখা যায়। এছাড়াও বাড়ির আসেপাশের পার্সোনাল ক্যামেরাগুলোও একসেস নিয়ে নিলো।
রাফি - পিকাচু, আমি যখন ওই বাসাতে ছিলাম তখন ওই বাসার বাউন্ডারির ভেতর কোন সিসিক্যামেরা ছিলো না, তাই আমরা সপরিবারে ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর ওই বাসায় কোন টেকনিশিয়ান টিম বা সিসিক্যামেরা ইনস্টল করা টিম এসেছিলো কি না।
পিকাচু - বাড়িতে বা বাড়ির বাউন্ডারিতে সিসি ক্যামেরা না থাকলেও সমস্যা হবার কথা না।
পিকাচু মনিটরে শো করে বাড়ির আশেপাশে থাকা অনলাইন ক্যামেরাগুলো যাতে করে পুরো বাড়িটার সার্ভেইল্যান্স সম্ভব।
রাফিও ভাবতে থাকে মাফিয়া গার্ল সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে এটেনশন টানবে না, কারন বাড়িটাকে সে ব্যবহার করছে শুধুমাত্র বাবা মা এবং তোহা যেন অবিশ্বাস না করে সেজন্য, সে যথেষ্ট বুদ্ধিমতী।
পিকাচু - I found something.
রাফি মনিটরের দিকে তাকিয়ে দেখে পিকাচু একটা স্যাটেলাইট ডিটেক্ট করেছে যা এই বাড়ির উপর নজর রাখছে।
রাফি - এ তো ভয়ংকর ঘটনা হলো, এই স্যাটেলাইটকে বোকা বানাবো কিভাবে !!
রাফি কিছু একটা ভেবে রকিবকে ফোন দেয়।
রকিব - বল দোস্ত,
রাফি - কতদূর পৌছেছিস!
রকিব - এইতো পথে।
রাফি - যাস না। আশেপাশে ভালো ফাষ্টফুডের দোকানে যা। সেখানে একটা বড়সড় পিৎজা অর্ডার কর সাথে ফ্রেন্চফ্রাই আর কোক।
রকিব - কেন? এসব কেন?
রাফি - ঝামেলা আছে। তুই ফ্রেন্স ফ্রাই এর প্যাকেটে ফোনটা ঢুকিয়ে দে আর তারপর সেটা ফুড ডেলিভার সার্ভিসে দিয়ে দে ওই ঠিকানা বরাবর, প্রাপকের নাম দিয়ে দিস তোহা।
রকিব - এত ঝামেলা কেন?
রাফি - যেটা বললাম সেটা কর দোস্ত, আমি চাই না আমার কারনে তুই কোন বিপদে পড়িস।
রকিব - আচ্ছা ঠিক আছে। কাজ শেষে ফোন দিচ্ছি।
রাফি জানে তোহা পিৎজা ছাড়া বাঁচতে পারবে না। ওই বাসায় থাকলেও কম বেশী পিৎজা অর্ডার করছে সে তা যে কোন ভাবেই হোক। আর বডিগার্ডরা হয়তো ডেলিভারি বয় নিয়ে খুব একটা মারপ্যাচ খাটাবে না। দেখা যাক।
রাফি নিজেও বসে আছে মাফিয়া গার্লের ডেরায়। কেন যেন কোনভাবেই আর বিশ্বাস করতে পারছে না সে মাফিয়া গার্লকে। পুরা দেশ বদল করে ফেলা হ্যাকারকে কোনভাবেই আর নিজের বিশ্বস্ততায় রাখতে পারছে না।
রাফি - পিকাচু, সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরাতে তোমার একসেস কেউ ধরতে পারবে না তো?
পিকাচু - নেগেটিভ, আমি নেটওয়ার্ক থেকে একসেস নিচ্ছি যা সাধারণত end to end Encrypted থাকে, আমি সেই এনক্রিপশন ভেংগে নেটওয়ার্ক থেকেই এই ভিডিও আপলিংক নিচ্ছি।
রাফি - আচ্ছা, এই কারনেই তুমি সবার প্রথমে পুরো এলাকার নেটওয়ার্ক সিসটেম দখলে নিয়েছিলে?
পিকাচু - পিকা পিকা।
রাফি - অসাধারণ। অনেকটা দুমুখি পানির পাইপের মাঝখানে ফুটো করে পানি বের করে নেয়ার মত অবস্থা। আচ্ছা ঠিক আছে। কোন ডেলিভারি বয় বাড়ির দিকে এপ্রোচ করলে ইনফর্ম করো।
পিকাচু - পিকা পিকা।
রাফি চেয়ার ছেড়ে ওঠে। বেজমেন্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসে পেটপূজা করতে। বাইরের আবহাওয়া পুরাই ভিন্ন। রান্নাঘরের জানালার অর্ধেক ডুবে গেছে বরফে। বাইরে ভয়াবহ তুষারপাত হচ্ছে।
রাফি ভেবেছিলো বাড়ির লোকজনদের বের করে নিজেও এখান থেকে পালাবে রাফি কিন্তু বাইরের আবহাওয়া মোটেই সুবিধাজনক না। রাফি আর কিছু না ভেবে খাবার গরম করে খাওয়া শুরু করে। অন্য দুইজনের অবস্থা জানার ইচ্ছা আপাতত নেই রাফির। পরিবার নিয়েই বেশী চিন্তিত রাফি।
বেশকিছুক্ষন পর রাফির মোবাইলে রকিবের নোটিফিকেশন আসে, রাফি ফোন দেয় রকিবকে,
রাফি - কি হাল, কাজ শেষ?
রকিব - হ্যাঁ, তোর কথামত ফ্রেন্সফ্রাইয়ের প্যাকেটে মোবাইলটা ঢুকিয়ে দিয়েছি। আর ডেলিভারি বয় ও বের হয়ে গেছে খাবার পৌছে দিতে।
রাফি - যাক, তুই বাসায় চলে যা এখন দোস্ত। অনেক বেশী কষ্ট দিলাম তোরে।
রকিব - বিপদের সময় যদি কাজে না আসতে পারি তো কিসের বন্ধুত্ব। প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই জানাবি।
রাফি - ধন্যবাদ দিলাম না, বিরিয়ানি ট্রিট দিমুনি।
রকিব - ওক্কে। পাওনা থাকলো।
রাফি - দোয়া কর যেন প্লান কাজে দেয় দোস্ত।
রাফি ফোন কেটে দেয়। প্রাথমিক কাজ হয়ে গেছে। দেখা যাক কি হয় এখন।
রাফি দ্রুত খাওয়াদাওয়া শেষ করে চলে যায় বেজমেন্টে। সামনে কি হবে তা দেখার জন্য।
রাফি বসে আছে মনিটরের দিকে তাকিয়ে, কখন ডেলিভারি বয়কে দেখা যাবে। ততক্ষণে মাফিয়া গার্লের ফোন,
- পিকাচু কে পেয়ে আমাকে ভুলেই গেলে?
রাফি - আপনাকে ভোলা যায়! বসেই তো আছি আপনার দেয়া ঘরের বেজমেন্টে।
- পিকাচু কি পুরোপুরিভাবে তৈরী? Knowledge hunting শেষ?
রাফি - না, এখনো শুরু করতে পারে নি, যথাযথ জায়গা খুঁজছে এখনো।
- তুমি কি যে কোন এক জায়গায় পিকাচু কে রাখতে চাচ্ছো?
রাফি - ধরে নিতে পারো তেমনটাই। এছাড়া খন্ড খন্ডভাবে রাখাটা যুক্তিসংগত নয়।
- যে কারনে তোমার হাতে পিকাচুকে দেয়া, একটা বড় ধরনের বিপদ ঘটে গেছে।
রাফি - বড় ধরনের বিপদ! কি বিপদ?
- কিছুদিন আগে একটা মিলিটারি স্যাটেলাইটের কন্ট্রোল নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে একদল সন্ত্রাসী।
রাফি - এমন তো অহরহই হয়ে থাকে, সন্ত্রাসীরা দখল করবে আর সেনাবাহিনী আর হোয়াইট হ্যাট পুনরায় সেটা উদ্ধার করবে এমনটাই তো হয়ে আসছে।
- এবার আর এমন হচ্ছে না। স্যাটেলাইটটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে শুধুমাত্র একটা স্যাটেলাইট স্টেশন আর একটা নিউক্লিয়ার সাবমেরিন।
রাফি - এছাড়া আর কোন কন্ট্রোল নেই!?সাবমেরিনকে কন্ট্রোল করে কিভাবে! আর কি হয়েছে এতে? আর যে স্যাটেলাইট শুধুমাত্র সাবমেরিন আর স্যাটেলাইট স্টেশন ছাড়া কন্ট্রোল সম্ভব না সেটা হ্যাক করলো কিভাবে! ?
- এই পুরো সিস্টেমটাই একটা ব্যাকআপ প্লান হিসেবে ছিলো। যদি কোন কারনে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় তো সিকিউরভাবে সাবমেরিন থেকেই নিউক্লিয়ার হামলা চালানো যাবে।
রাফি - এমন হয় নাকি! প্রেসিডেন্ট বা প্রাইম মিনিষ্টারের আদেশ ছাড়া নিউক্লিয়ার স্ট্রাইক সম্ভব নাকি?
- টুইষ্ট তো ওখানেই। যেন যুদ্ধের সময় কোন কারনে প্রেসিডেন্ট বা নিউক্লিয়ার অস্ত্র ব্যবহারের আদেশ দেয়ার মত কেউ জীবিত না থাকে তাহলে যেন সাবমেরিনের অপারেশন কন্ট্রোল নিউক্লিয়ার স্ট্রাইক চালাতে পারে। এছাড়া স্যাটেলাইট স্টেশন ও একই কাজ করতে সক্ষম। শুধুমাত্র নিউক্লিয়ার এক্টিভেশন ডিভাইস থেকে এক্টিভেট করা থাকলেই কাজ হয়ে যাবে।
রাফি - তাহলে সাবমেরিন অথবা স্যাটেলাইট স্টেশন দিয়ে স্যাটেলাইটির কন্ট্রোল ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করলেই হয়।
- স্যাটেলাইটের কন্ট্রোল হাতছাড়া হয়েছে একবারে নয়, ধাপে ধাপে,
প্রথম ঘটনা, নেভী ড্রিল হিসেবে দুই সপ্তাহ আগে সাবমেরিনটি প্রশান্ত মহাসাগরে যাত্রা করলে যাত্রার কয়েক ঘন্টা পর সাবমেরিনটি থেকে সকল ধরনের ট্রান্সমিশন বন্ধ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত সাবমেরিনটি নিখোঁজ।
দ্বিতীয় ঘটনা, স্যাটেলাইট দিয়ে সাবমেরিন খুঁজে বের করার জন্য সরকারী প্রোগ্রামার দিন রাত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে ট্রাষ্টেড হোয়াইট হ্যাটদের সাহায্য নেয়া হয়, যাদের মধ্যে কেউ একজন এক ভয়ানক প্রোগ্রামিং ভাইরাস সিস্টেমে আপলোড করে দেয় যার কারনে স্যাটেলাইট স্টেশন শুধু নয়, স্যাটেলাইট স্টেশনের সাথে কানেক্টেড সব ডিভাইস ওভারহীটেড হয়ে ফ্রাইড হয়ে গেছে। আর ওই ভাইরাসই পুরো স্যাটেলাইট কন্ট্রোল তুলে দিয়েছে কোন এক প্রোগ্রামার গোষ্টির হাতে।
রাফি - সাবমেরিন গেলো, সেটা খুঁজতে স্যাটেলাইট স্টেশন কাজে লাগাতে গিয়ে সেটাও গেলো সাথে স্যাটেলাইটের কন্ট্রোলও। এখন এটা বলবেন না যে কোন না কোনভাবে একটা নিউক্লিয়ার এক্টিভেশন ডিভাইস ও খোয়া গেছে।
- আনফর্চুনেটলী তাই ই হয়েছে। রিসেন্টলি নেভাল কমান্ড একটা ফুললি ফাংশনড নিউক্লিয়ার এক্টিভেশন ডিভাইস হারিয়ে ফেলেছে।
রাফি - মাশাআল্লাহ, আর কি চাই? দুনিয়া আনস্ট্যবল হয়ে যাওয়ার জন্য আর কি লাগে। আপনার কথা যদি ঠিক হয় তাহলে দুনিয়া এখন বিশাল বড় নিউক্লিয়ার যুদ্ধের মাঝখানে দাড়িয়ে আছে, তাই তো!
- হ্যাঁ সেটাই।
রাফি - এখানে পিকাচু বা আমি কি করতে পারি! আমাদের কি কাজ এখানে?
- যদি খুব দ্রুত সাবমেরিন অথবা স্যাটেলাইট খুঁজে বের করা না যায় তাহলে কি হওয়া সম্ভব তা হয়তো আন্দাজ করতে পারছো। তুমি এবং আমি মিলে এই পৃথিবীকে বাঁচাতে পারি।
রাফি - এটা ছোটখাটো বিষয় নয়, অনেক বড় বিষয়। এতোটা সহজভাবে বললেও অতটা সহজভাবে করা সম্ভব নয়। যারা একটা সাবমেরিন গায়েব করে দিতে পারে, যারা নিউক্লিয়ার এক্টিভেশন ডিভাইস চুরি করতে পারে তাদেরকে এতটা হালকাভাবে দেখা উচিৎ নয়।
- হালকাভাবে দেখছি না বলেই আমার সাহায্যের প্রয়োজন আর তোমরা মানে তুমি আর পিকাচু ছাড়া এমন ইফেক্টিভভাবে কেউ আমাকে সাহায্য করতে পারবে না।
রাফি - একটা প্রশ্ন, আপনি কেন এসব করছেন!?এসব করে আপনার কি লাভ!?
- এই দুনিয়া সার্ভাইভ করলে আমার লাভ। আর একটা জিনিস এড করে দেই, সাবমেরিনে ১৫ টা নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেড আছে, যা স্যাটেলাইট এবং নিউক্লিয়ার এক্টিভেশন ডিভাইস এর দ্বারা সারা পৃথিবীর যে কোন পিনপয়েন্টে আক্রমন করতে সক্ষম।
রাফি - আসলেই চিন্তার ব্যপার। ১৫ টা নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেড মানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু তারা এখনো কোন হুমকি বা স্ট্রাইক চালায়নি কেন?
- দুইটা কারনে, এক স্যাটেলাইট স্টেশন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় স্যাটেলাইটটিতে যে কোন সময় যোগাযোগ স্থাপন অসম্ভব হয়ে গেছে, এখন সাবমেরিন এবং স্যাটেলাইটকে কাছাকাছি এ্যালাইনমেন্টে আসতে হবে এবং তখনই যোগাযোগ সম্ভব।
আর দ্বিতীয়ত স্যাটেলাইট স্টেশন ব্যতীত সাবমেরিনকে স্যাটেলাইটের সাথে কানেক্ট হতে হলে সাবমেরিনকে অবশ্যই জলের উপর ভেসে থাকতে হবে। কিন্তু এখন জলের উপর ভেসে উঠলেই ধরা পড়ে যাবার সম্ভাবনা আছে।
রাফি - মানে ওই এক স্যাটেলাইট স্টেশনের জন্য অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়েছে সবাইকে, মিলিটারিও আর সন্ত্রাসীরও।
- স্যাটেলাইট স্টেশনই একমাত্র উপায় ছিলো সাবমেরিন খুজে বের করার। স্টেশন না থাকলে মিলিটারি অসহায়।
রাফি - এই সাবমেরিন উদ্ধারে আমার সাহায্য নেয়ার প্লান আপনার মাথায় এলো কবে থেকে!?
- তোমার কাছে মজা মনা হচ্ছে এসব! একটা নিউক্লিয়ার বোমা বিষ্ফোরন মানে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু আর কোটি কোটি মানুষের রেডিয়েশন এক্সপোজারে ধুকে ধুকে মরন। তোমার বাবা মা এর শহরকেই যদি সন্ত্রাসীরা টার্গেট করে তাহলে! ওই শহরে এমন কোন নিউক্লিয়ার বাংকার ও নেই যেখানে চাইলেই তুমি বা আমি তোমার ফ্যামিলিকে ওই বাংকারে ঢুকিয়ে দিতে পারবো। আমার ফ্যামিলির কথা না হয় বাদই দিলাম।
যতই মজা করে উড়িয়ে দিক না কেন ব্যপারটা মোটেই হাসিঠাট্টার নয় সেটা রাফি ভালো করে জানে। হিরোশিমা নাগাসাকিতে এখনো বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয় এই রেডিয়েশনের জন্য । আর একবার যদি নিউক্লিয়ার যুদ্ধ বাধে তো এই পৃথিবী বলে কিছু থাকবে না। নাহ ভালো চিন্তায় পড়ে গেলো রাফি। একদিকে বাবা মা আর তোহাকে উদ্ধার করা অন্যদিকে পৃথিবীকে উদ্ধার, কি করবে রাফি!
পরবর্তী পর্ব
এইরকম আরও সুন্দর গল্প পড়তে Sharix Dhrubo ফেসবুক পেইজটিতে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।
বিভিন্নরকম গল্প, ফ্রী বই, ফ্রী প্রো অ্যাপস, টেকনোলজি যেকোন হেল্প পেতে সাইটটির সাথেই থাকুন এবং আমাদের ইউটিউব চ্যানেল IT RafiuL AhsaN সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন