সকলপ্রকার হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত থাকবেন যেভাবে, How to Safe from any hack.
সকলপ্রকার হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায়।
আজকে আমি আপনাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানাবো যা আপনার অনেক উপকারে আসবে এজন্য পোস্টটি সম্পূর্ন পড়ুন।
যে বিষয়টি জানাবো তা হলো আপনার ডিভাইস, আপনার তথ্য এবং যেকোন একাউন্ট কিভাবে সিকিউর রাখবেন এবং হ্যাকিং থেকে কিভাবে বাঁচবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
একটা অসচেতন ব্যাক্তির কাছে কোন তথ্যবহুল ডিভাইস থাকা আর একটা গ্রেনেড থাকা সমান কথা। যে প্রোপারলি কোন ফোন কিংবা পিছি ইউজ করতে পারেনা তার জন্য তথ্যবহুল ডিভাইস নিরাপদ না গ্রেনেডের ব্যবহার না জানলে যেমন নিজের ক্ষতি হবে ঠিক ডিভাইসের সিকিউরিটি না জানলে তাও ক্ষতির কারণ হতে পারে।
হ্যাকিং থেকে বাঁচতে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে কি কি উপায়ে হ্যাকাররা হ্যাকিং করে।
হ্যাকারদের হ্যাক করার অনেক বিষয় থাকে সবগুলি তো বুঝানো সম্ভব নয়, তাই কমন এবং সাধারণ কয়েকটি বিষয় আপনাদের জেনে রাখা উচিত।
১. ফিসিং এর মাধ্যমে,
ফিসিং ওয়েবসাইট এবং এপস ২ মাধ্যমেই করতে পারে। সেগুলো দেখতে হুবহু আপনার অরিজিনাল একাউন্টের মতো একই রকম হয়, যা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেন।
তাই অফিসিয়াল ছাড়া অন্য কোন এপস এ লগিন করবেননা এবং ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ইউআরল দেখবেন দেখে লগইন করবেন ।
অনেকসময় ইউআরল একটু ক্রিটিকাল হয় যেমন ইংরেজি বর্ণমালার O বর্ণর পরিবর্তে ০ ব্যবহার করে, যা বোঝা খুবই কষ্টকর তাই একটু ভালোভাবে দেখে কিংবা নিজে ইউআরএল সার্চ দিয়ে সাইটটিতে যাবেন।
২. ব্রুটফোর্স এটাক,
ব্রুটফোর্স অ্যাটাকে হ্যাকাররা আপনার একাউন্টে কিছু অটোমেটিক পাসওয়ার্ড দিতে থাকবে, যদি আপনার পাসওয়ার্ড দুর্বল হয় তাহলে তাদের অ্যাটাকের সাথে মিলে যাবে এবং একাউন্টটি তারা হ্যাক করে নেবে। তাি সবসময় স্ট্রং পাসওয়ার্ড দিন, যেমন ছোট বড় অক্ষর, বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন &*#@% ইত্যাদি।
৩. লিংক পাঠানোর মাধ্যমে,
হ্যাকাররা আপনাকে কোন লিংক দিবে সেখানে ক্লিক করতে বলবে, অনেক প্রলভোন দেখাবে যাতে আপনি ক্লিক করে করলেই তাদের কাছে আপনার এক্সেস চলে যাবে এবং আপনি হ্যাকিং এর শিকার হবেন।
৪. মেইলের মাধ্যমে,
তারা মেইলের মাধ্যমে আপনাকে বলবে যে এখানে লগইন করলে এত ডলার ফ্রি পাবেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
বেশিরভাগ ইউটিউবারদের কাছে স্পন্সরের জন্য কোন সফটওয়ারের নামে ভাইরাস ইনস্টল করে নিয়ে ডিভাইসের এক্সেস নিয়ে নেয়।
আমাদের কিছু করণীয়ঃ-
তবে অনেকসময় আমরা সবাই বোকা হয়ে যাই এজন্য সবসময় আপনি ফোনে ২টি ব্রাউজার রাখবেন ২টি মেইল কিংবা একাউন্ট রাখবেন,
কোন প্রয়োজনিয় অপ্রয়োজনীয় লিংক হলে ২য় ব্রাউজার এবং ২য় মেইল বা একাউন্ট দিয়ে ওপেন করবেন, এবং কোন সাইটে লগইন করবেননা কারণ লগইন করার ফলে তারা আপনার মেইল পাসওয়ার্ড যেনে যেতে পারে।
ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড,
আর কোথাও লগইন করলে আপনি অবশ্যই কয়েকটি ,প্রতিটি একাউন্টে একই পাসওয়ার্ড রাখলে, তারা একটির এক্সেস পেলে সব একাউন্ট হ্যাক করতে পারবে তাই প্রতিটি পাসওয়ার্ড আলাদা রাখবেন।
৩ টি মেইল একাউন্ট,
একটি মেইন কোন কিছুর জন্য, একটি হালকা গুরুত্বপূর্ণের জন্য এবং একটি হুদাই কোন কিছু লগইন এর জন্য। আর আপনি পাসওয়ার্ড অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন রাখবেন এতে আপনার মেইন কিছু হারানোর ভয় থাকেনা।
৫. কারও পেনড্রাইভ ডিভাইসে ইন করবেননা।
হ্যাকারদের কিছু কিছু পেনড্রাইভ আছে যেগুলো আপনার ডিভাইসে ইন করে বের করার সাথে সাথেই আপনার সকল তথ্য তার পেনড্রাইভে চলে আসবে। তাই কারও পেনড্রাইভ আপনার ডিভাইসে ইন করবেননা।
৬. ডিভাইস যিনি সার্ভিসিং করেন তার কাছে ফোন দিয়ে চলে আসবেননা,
এর ফলে সে আপনার তথ্য চুরি করে অপব্যবহার করতে পারে। তাই সময় লাগলেও সাথে থেকে ঠিক করে নিয়ে আসবেন।
৭. গুগল থেকে যে ক্রাক কিংবা ফ্রি প্রো যে সফটওয়্যারগুলি ইউজ করবেননা,
তা ইউজ করাও ঠিক নয়, কারণ যে সফটওয়্যারটি ক্রাক করেছে সে কোন হ্যাকিং টুলস সেটআপ করে দিতে পারে, যার ফলে যে কোন সময় সেই ক্র্যাক ফাইলের মাধ্যমে আপনার তথ্য হ্যাক হতে পারে।
৮. কিছু কিবোর্ড সফটওয়্যার কিংবা রেকর্ডিং সফটওয়্যার রয়েছে,
যেটি ফোনে থাকলে আপনি যা যা করছেন সব রেকর্ডিং হয়ে থাকবে, সুতরাং কারও দেয়া সফটওয়্যার ইউজ করবেননা, কাউকে ডিভাইস দিয়ে কোথাও যাবেননা এবং কারও ডিভাইসে আপনার প্রয়োজনীয় কোন কাজ করবেননা কিংবা কিছু লগইন করবেননা।
৯. কাউকে আপনার ডিভাইস দিবেননা,
কাউকে ডিভাইস দিলে সে কিছুক্ষণের মধ্যে পাসওয়ার্ড ডিক্রেপটরের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসের সকল পাসওয়ার্ড জেনে নিতে পারে।
১০. হ্যাকিং হার্ডওয়্যার,
ঠিক রেকর্ডিং কিংবা কিবোর্ড সফটওয়্যারের মতে একইরকম হার্ডওয়্যার ও রয়েছে যেটি আপনার কম্পিউটারে সেট করে দিলে সেখানে আপনি কি করবেন সব হ্যাকারের কাছে মেইলের মাধ্যমে চলে যাবে। তাই অফিসের কিংবা অন্য কারও ডিভাইস ইউজ করার ক্ষেত্রে বিষয়গুলি চেক করে নিবেন।
১১. অপরিচিত কাউকে কোন তথ্য দিবেননা,
কোন কোন সাইটে আপনাকে ব্যাংকিং একাউন্টের ডিটেইলস দিতে বললে কিংবা ফোন করে অফিসের লোক হিসেবে আপনার বিকাশ কিংবা
কোন একাউন্টের তথ্য জানতে চাইলে কখনওই দিবেননা, আগে ১০০% সিওর হবেন তারপর প্রয়োজনীয় কিছু শেয়ার করবেন।
মেইল কিংবা একাউন্টে ২স্টেপ ভেরিফাই,
আপনি আপনার মেইলে এবং যে একাউন্টে ২ ফেকটোর ভেরিফাই অপশন আছে তা অন করে রাখবেন, তাহলে পাসওয়ার্ড যানার পরও আপনার সিমের কোড না দিলে সাধারণত লগইন করতে পারবেনা।
১২. ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক,
ফেসবুকে কেউ আপনাকে কিছু ডিফল্ট লিংক দিয়ে আপনার থেকে তারা এডমিন পারমিশন নিয়ে নিবে তারপর আপনাকে রিমুভ করে দিবে তাই কোন লিংকে ক্লিক করার আগে দেখে শুনে ক্লিক করুন।
১৩. ফেসবুক হ্যাকিং গেম,
বর্তমান কিছু ফেসবুক গেমস আছে যেমন কতজন আপনাকে লাভ করে কিংবা হেট করে অথবা ১০ বছর পর আপনি কি করবেন এমন ফালতু গেমসএ ক্লিক করলে তারা আপনার এক্সেস নিয়ে নিতে পারে, তাই এসব থেকে অযথা মজা নিবেননা।১৪. ফেসবুক হ্যাকিং সাইট,
কিছু সাইট আছে আপনাকে ফেসবুকে লগইন থাকার পরও আবার লগইন করতে বলবে আপনি ভাববেন হয়তো লগআউট হয়ে গেছে কিন্তু আপনি তাতে কখনওই লগইন করবেননা পারলে ফেসবুক ডট কম লিখে সেখান থেকে গিয়ে লগইন চেক করে নিন।১৫. অপ্রয়োজনীয় লিংকে ক্লিক করবেননা,
কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে কোন তথ্য দেয়া লাগেনা, অটোমেটিক লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে তারা এক্সেস নিয়ে নেয়। তাই কোন গরবর মনে হলে সাথে সাথে আপনার পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে নিবেন৷দিন যতই যাচ্ছে হ্যাকারদের পদ্ধতিও আপডেট হচ্ছে, তাই আমাদেরও সেইভাবে আপডেট হতে হবে। যুগের সাথে আপডেট হতে এবং টেকনোলজি যেকোন সমস্যার সমাধান পেতে আমাদের সাইটের সাথেই থাকুন এবং আমাদের চ্যানেলটি অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। আশা করি সাইট এবং চ্যানেলটি আপনাকে টেকনোলোজি বিষয়ে আপডেট করতে সহায়তা করবে, ধন্যবাদ।
আরও ভালোভাবে জানতে ভিডিওটি দেখুনঃ-
More Item
!->
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন